তালতো বোনের সেক্সী ভোদা

সদরঘাট হইয়া গ্রামের বাড়ী যাইতেছি। ইউনিয়ন পরিষদের একটা সর্টিফিকেট দরকার। এমনিত কয়েকবচ্ছরে একবার গ্রামের বাড়ী যাওয়া হয়। এইবার একটু বেশীদিন পরে যাইতেছি। সদরঘাট এলাকাতে আসা হইয়া ওঠে না। হকার আর ফকিরের জ্বালায় হাইটা যে টার্মিনালে ঢুকুম সেই উপায়ও রাখে নাই। ভীড় ঠেইল্যা টিকিট লইয়া আধাঘন্টা পরে ভিতরে আইলাম। খালদা জিয়ার কোকো লঞ্চ দেইখা উঠলাম। ভালো লঞ্জ এই কোকো সিরিজ। বহুত পয়সা খরচা কইরা কিনছে নিশ্চয়ই। রাত আটটার লঞ্চ এখনো আধাঘন্টা বাকী ছাড়তে কিন্তু ভিতরে ঈদের মত ভীড়। মানুষে মানুষে জায়গা নাই। দোতলায় ডেকে জায়গা না পাইয়া ছাদে ট্রাই মারলাম। ঐটাও ভরা। অনেকে চাদর বিছায়া জায়গা বুক কইরা রাখছে। কিনারায় রেলিংএ বসা যায় কিন্তু বেশি ঝুকি মনে হইলো। আবার দোতলায় দুই রাউন্ড দিলাম। নীচ তলায় আইলাম। এখন এইখানে আরো মানুষ। এক্কেবারে পিছে গেলাম গা। কয়েকটা মালভর্তি বস্তা ছড়ায়া রাখছে কেউ। চাপ দিয়া একটু নরম মনে হইলো, সফট প্লাস্টিক টাইপের কিছু মনে হয় ভিতরে। একটার উপরে বইসা আরেকটায় মাথা হেলান দিলাম। মিনিট খানেক পরে দেখি কাশি আসে। আরে শালা ভিতরে তো প্লাস্টিক না, মনে হয় শুকনা মরিচ। বিরক্ত হয়া উঠতে হইলো। এক লেবার বস্তা গুছাইতাছে তারে জিগাইলাম বস্তার ভিতরে কি? কইলো ঐপাশের গুলায় মুন্সিগঞ্জের ধইন্যা পাতা যাইতেছে বরিশাল। তাইলে তো বেশ ভালো। ধইন্যাপাতার বস্তায় শরীর ঢাইলা চক্ষু বোজার ট্রাই নিলাম। হালকা একটু ঘুমও দিছি। পেট মোচারনীতে উঠতে হইলো। লঞ্চ কখন চলা শুরু করছে। ঘাট থাইকা গলদা চিংড়ির মাথা খাইছিলাম মনে হয় ওগুলা এখন বাইর হইতে চাইতাছে। হ্যান্ডব্যাগটা নিয়া বাথরুমের দিকে রওনা দিলাম। বাথরুমটা কাছেই আমি যেইখানে শুইয়া ছিলাম তার থিকা। এইখানেও ভীড়, বাঙ্গালী আগা গোড়াই হাগে বেশী। চার পাচজনের হাগামোতা শেষ হইলো। তখন আমি ঢুকলাম। ডায়রিয়া হয়ে গেছে মনে হয়। পেট ব্যাথা কইরা হাত পা মোচড়ায়া হাগতেছি দেওয়ালের ফুটায় কি একটা নড়েচড়ে চোখ গেল। ভালমত নজর দিয়া বুঝলাম একটা ভোদা দেখতেছি। পাশের বাথরুমে, টিনের দেওয়ালে অসংখ্য ফুটা চাইলে সবই দেখা যায়। কয়েকমাস পর লাইভ ভোদা দেখলাম। একটা ভোদা গেল আরেকটা আসল। নানান কিছিমের ভোদা আসলো গেল। লোমশ, লোমবিহীন, গ্রাইম্যা, শহুরে। কয়েকটা ধোনও আসছিলো ওগুলা দেখি নাই। সে রাতে কয়েকবার বাথরুমে যাইতে হইলো। ঘন্টা দুয়েক সময়ে গোটা পঞ্চাশ ভোদা আমার বেল্টে জমা পড়লো। বাথরুমের গন্ধে নগদ ভোদাও বেশী দেখার উপায় নাই।

হাগা আর ভোদা দর্শন পর্ব শেষ কইরা আবার ঘুমাবো ভাবতেছি গিয়া দেখি বস্তা গুলা উধাউ। ওগুলা সামনে নিয়া গেছে। খালি জায়গায় লোকজন এখন বিছনা পাইতা ঘুমায়। এত রাতে কই যাই। দোতালায় গেলাম আবারও। একা ট্রাভেলের এই সমস্যা, জায়গা দখল রাখার জন্য কেউ নাই। কেবিনের সামনে দিয়ে ঘুল্লা দিতেছি একটা মেয়ে কন্ঠ বললো, আরে সুমন না? পিছে ঘুরতে বাধ্য হইলাম। আমার নাম ধইরা আবার কে ডাকে। একটা কেবিনের জানালা দিয়া উর্মি তাকায়া আছে। উর্মি আমার ছোটবেলার প্রতিবেশী, বর্তমানে আবার লতায় পাতায় তালতো বোনও হয়। সরকারী কোয়ার্টারে পাশের বিল্ডিংএ থাকতো। এক এলাকায় বাড়ী বলে ওর আব্বা আম্মার খুব যাতায়াত ছিল আমাদের বাসায়। আমরা আজিমপরে চলে আসার পর যোগাযোগ ছিল না। ছোট কাকার বিয়েতে কয়েকবছর আগে আবার দেখা। তখন থেকে উর্মি তালতো বোন। কিন্তু শৈশবের অনেক ঘটনা আছে যেগুলা সেও মনে করতে চায় না আমিও চাই না। আমি কাছে গেলাম
- তুমি কই যাও
- আমি তো এখন বরিশালে একটা এঞ্জিওতে আছি, তুমি কোথায় যাও
- একটা সার্টিফিকেট দরকার একজন্য দেশে যাই
কথায় কথায় বললাম, লঞ্চে আমার বসার জায়গা নেই। সে বললো, তাহলে আমাদের সাথে বসো। তার এক ভাগ্নিও আছে ভেতরে। অনেক কথা হইতে লাগলো। আমি ডাক্তারী পাশ করতেছি আর কিছুদিন পরে শুনে সে খুব উৎসাহ দিল। তারপর বিষন্ন হইয়া গিয়া কইলো, কলেজে প্রেম করতে গিয়া তার পুরা জীবনই এখন উলট পালট হয়ে গেছে। মাস্তান পোলার সাথে বিয়া ছয়মাসও টিকে নাই। ভার্সিটিতে আর যাওয়া হয় নাই। বিকম পাশ করে এখন এনজিওতে জীবন চলতেছে। কতই বা বয়স হবে উর্মির ২৫-২৬ হয়তো। প্রসঙ্গ বদলানোর জন্য ছোটবেলার কাহিনী তুললাম। যদিও এই জায়গাটা আমি এড়ায়া চলতে চাই। উর্মি খুব স্বাভাবিক ভাবে নিল। সে আমার চেয়েও বেশী নষ্টালজিক। সেই সালমা, সাদেক, মঞ্জু তারা কে কোথায় উর্মি সবার খবর রাখে। আমার সাথে কারো কোন যোগাযোগ নাই। কোনদিন কৌতুহলও হয় নাই। রাত যত গভীর হল ততই ৮৯ সালের সেই দিনটার প্রসঙ্গ আসি আসি ভাব নিল। আমি দেখলাম আই ডোন্ট কেয়ার এনিমোর, এত অপরাধবোধে থাকার সুযোগ নাই। আমি বলেই ফেললাম, আমি স্যরি। উর্মি বললো,
- স্যরি কিসের জন্য?
- ঐ রাতের ঘটনার জন্য
- আমি জানতাম তুমি এই প্রসঙ্গ তুলবে, আমি তোমাকে অনেক আগেই ক্ষমা করে দিয়েছি
৮৯ সালের শীতকাল। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। উর্মির বাবা মা উর্মি আর তার ছোট ভাইকে আমাদের বাসায় রেখে গ্রামে বেড়াতে গেছে। রাতে ওরা দুইভাইবোন আর আমরা তিনভাইবোন খাটে আড়াআড়ি ভাবে ঘুমাচ্ছি। আমি একদিন উর্মির বুকে হাত দিলাম, তার দুধ তখন অল্প অল্প উঠছে। সে কিছু বললো না। দিনে আমার সাথে ঠিকই হাসাহাসি খেলাধুলা করলো। আমি সাহস পেয়ে পরদিন ওর ভোদায় হাত দিলাম। ওর হাতটা আমার নুনুতে দিলাম। আমি শিওর এগুলা ও টের পাইছে কিন্তু আবারও কিছুই বললো না। দিনের বেলায় পুরো স্বাভাবিক। এরপরদিন রাতে আমি ওর পায়জামাটা খুইলা আমার ধোন নিয়া চড়াও হইলাম। অর গায়ের ওপর যেই উঠছি ধোন তখনও ঢুকাই নাই, একটা লাথি মেরে ও আমাকে ফেলে দিল, বললো, সরে যা। পাশে শোয়া আমার বড় বোন ধড়মড় করে উইঠা জিগাইলো, কি হইছে রে। আমি কিছু বললাম না, উর্মি বললো, কিছু না। ও কিন্তু তখনো ল্যাংটা, ভাগ্য ভালো আপু লাইট জ্বালায় নাই। সকালে উইঠা বুজলাম উর্মি গুম হইয়া আছে। দুপরে একা পেয়ে বললো, তোমাকে আমি সব দিলাম আর তুমি এটা করলে? এরপর যে আমাদের কথা বন্ধ হলো মনে হয় দশ বছর কথা বন্ধ ছিলো। স্কুলে যাওয়ার সময় উর্মিকে অনেক দেখছি, সেও আমাকে আড়চোখে দেখত কিন্তু মুখোমুখি হই নাই।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন